শৈশবে মানুষ তার ভালো অভ্যাসগুলো গড়ে তোলা শুরু করে। এ অভ্যাস গড়ে তুলতে পরিবার যেমন সাহায্য করে তেমনি সাহায্য করে তার চারপাশের পরিবেশ। আর এসব ভালো অভ্যাস গড়ে উঠার অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে কমিউনিটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানেই শিক্ষার্থী একজন সচেতন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার সুযোগ পেয়ে থাকে।এই অভ্যাসের একটি বড় সুফল হল সুস্থ থাকার নিশ্চয়তা এবং সুনাগরিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ পরিবেশ অনেকের ক্ষেত্রেই বড় ধরণের ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে যদি সেখানে সচেতনতামূলক চর্চা ঠিকঠাক ভাবে পালন না করা হয়।এরই ধারাবাহিকতায় কোনাবাড়ী অঞ্চলের আমবাগ কমিউনিটিতে অবস্থিত আমবাগ নজর দীঘি নাদের আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে অক্টোবর ২৫, ২০২২ইং তারিখে কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির আয়োজনে নগর মাতৃসদন এর সহযোগীতায় থেকে ছাত্র-ছাত্রী/ কিশোর-কিশোরীদের উন্নয়নে প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক একটি ফ্রী ক্যাম্পেইন আয়োজন করা হয়ে থাকে। উক্ত ক্যাম্পেইনে – কৈশোর কাল, কৈশোর কালীন পুষ্টি, প্রসাবের ইনফেকশন এবং প্রতিকারের উপায়, কৃমিনাশক ঔষধ সেবন এর গুরুত্ব এবং টিটি টিকা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তামেয়েদের পিরিয়ডকালীন সময়ে করনীয়, পিরিয়ডকালীন সময়ে প্যাড ব্যবহারের নিয়ম, বাল্য বিবাহের কুফল এবং অপকারীতা ও করনীয়, অনিয়মিত ঋতুস্রাবে করনীয়, বাসা-বাড়ি এবং বিদ্যালয়ে শৌচাগার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার গুরুত্ব নিয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা করা হয় সেই সাথে উপস্থিত ছাত্রীদের ০১ মাসের সেবনের জন্য আইরোলিক ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়ে থাকে এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান হয় বিদ্যালয়ে মেয়েদের জন্য আলাদা ভাবে প্যাডের ব্যবস্থা করা সম্ভব হলে বিনামূল্য ছাত্রীদের বিতরণ করা। নিজেরদের প্রতি যত্নশীল হবার প্রতি ভীষণ আগ্রহ রয়েছে ছাত্র/ছাত্রীদের। মূলত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় কোথাও সচেতনতামূলক কার্যক্রম না থাকায় শিক্ষার্থীরা স্বল্পকালীন কিংবা দীর্ঘকালীন শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এর কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখায় যেমন অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাঘাত ঘটতে পারে, তেমনি তা পুরো পরিবারের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার মত কারণও সৃষ্টি করতে পারে বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির কোনাবাড়ী শাখা কমিউনিটি ভিত্তিক এসব সমস্যা নিরসনে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
নওশাদ রায়হান
বিসিডাব্লিউএস- কোনাবাড়ী।