কে আমি ?
”নদী” জ্বী নদী নামটা যতটা সুন্দর ঠিক ততটাই কস্টের তবে জীবন।ওনি আমার আপনার মতন ছেলে/মেয়ে নন।আমাদের সমাজের দেয়া সংঙ্গাতে সংঙ্ঘায়িত করলে যাকে “হিজড়া” বলা হয়।
মধ্যবিত্ত পরিবারে প্রথম ছেলে সন্তান হিসেবে জন্মের কয়েক বছর পর্যন্ত ভালোই কেটেছিলো আস্তে আস্তে বড় হবার সাথে পাল্টে যেতে থাকে পরিচিত হয়ে উঠতে লাগলো।বড় হবার সাথে সাথে মেয়েদের সবকিছুই খুব ভালো লাগতো নিজেকে ছেলে হিসেবে শানতে তার কস্ট হতো কিন্তু পরিবারের আপ্রান চেস্টা ছিলো ছেলে হিসেবে সমাজের চোখে উপস্থাপন করার।
কস্টের পর্বটা শুরু হতে লাগলো ,সমাজের চোখে নদীকে লুকাতে গিয়ে শুরু হলো বন্দী জীবন।পড়ালেখা করতে ভালো লাগতো কিন্তু স্কুলের ভর্তি ফরমেই তো লেখা ছেলে মেয়ে কিন্তু নদী কোনটা?
প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে স্কুলে যাচ্ছিছিলেন তবে কষ্টটা তীব্র হয়ে উঠলো যখন সমবয়সী বা একটু সিনিয়ররা তাকে বিভিন্ন অশ্লীল মন্তব্য,কূ রুচীপূর্ন ইঙ্গিত দিতো।বাড়ির বাইস্তা বাতিজা ওদেরকে ও নানা মানুষে নানা কথা বলে ,তো আত্নীয় হিজড়া,সমাজের কিছু নোরাং লোকের চোখ পরেছিলো নদীর দিকে অবশেষে ভদ্র সমাজ বিদায় জানিয়ে চলে আসলেন হিজড়া কমিউনিটিতে।
কস্টের দ্বিতয়ি পর্ব শুরু-
হিজড়া কমিউনিটিতে থাকতে হলে নিদ্রিষ্ট এলাকায় মান্থলি দিতে হয় 6,000/=নিজের খরচ আছে।নদী কাজ করে টাকা উপার্জন করতে চেয়েছিলেন কিন্তু তথাকথিত ভদ্রসমাজ তাকে কোন কাজ দেয় নি,তাই পথে ঘাটে চাল তুলেন টাকা তুলেন।নদী বলেন গান করতে ভালো লাগে আমি গান করে টাকা উপার্জন করি, নোরাংমি করতে ভালো লাগে না।আমি জানি নোংরামি আর অশ্লীলতার কতটা কস্ট,কারন আমি মানসিক ও শারীরিক দু’টারই স্বীকার।