”শ্রমিক বান্ধব ব্লগ”

Bangladesh Center for Workers’ Solidarity

সেফটি কমিটি ফাংশনাল না

নাম : সেলিনা আক্তার
পদবী অপারেটর

আমাদের কারখানায় সেফটি কমিটি ফাংশনাল না তাই দেখা যায় বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি গুলো সঠিক নিয়ম পর্যবেক্ষণ করা হয় না, যেমন সুইচ গুলো ফেটে গেছে ও লুজ হয়ে গেছে, ওই জিনিসগুলো চেক করতেছে না, সুইজ গুলো মাঝে মাঝে গরম হয়ে যায় এটা অনেক বড় একটা রিক্স কখন যেন একটা দুর্ঘটনা ঘটে যাবে এতে আমাদের সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। সেইফটি ইকুইপমেন্ট দেয় না।
সবচাইতে বেশি ভয় থাকে আয়রন সেকসনে কারণ সেখানে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেশি। আয়রন সেকসন যদি একবার বাস্ট হয়ে যায় তাহলে পুরো কারখানায় আগুন ধরে যাবে, শুধু এটাই নয় আমরা সব কিছুতে আতঙ্কিত থাকি- পিসি কমিটি, সেফটি কমিটি, অভিযোগ কমি্টি, কোন কমিটি এই কাজ করে না শ্রমিকদের পক্ষে। মালিক পক্ষ যেটা বলে সেটাই করে ।তাই আমরা সব সময় একটা ভয় ও আতঙ্কে কাজ করি। আমাদের দিয়ে মাঝে মাঝে জোরপূর্বক ওভারটাইম করায় কিন্ত ওভারটাইমের টাকা কেটে রাখে।
২১/০৪/২৫ ইং তারিখে আমাদেরকে দিয়ে নাইট ডিউটি করানো হয়েছে কিন্তু কোন খাবার খেতে দেয়নি এমনকি কেউ যে কিনে আনতে না পারে সে ব্যবস্থাও বন্ধ করে দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট,সিকিউরিটিকে বলেছে কোন শ্রমিক যেন বাহিরে যেতে না পারে এজন্য মেইনগেট তালাবদ্ধ করে রেখেছে তাই আমরা না খেয়ে রাত ১২ টা পর্যন্ত কাজ করেছি, তাই আমাদের সব সময় সবকিছুতেই আতঙ্কে থাকতে হয়। শ্রমিকরা কথা বলতে গেলে বের করে দেয় এবং ব্ল্যাকলিস্ট করে দেয়। তাই কেউ এগুলো নিয়ে কথাও বলে না। RSC বা DIFE দ্বারা অডিট হয় কিনা সেটাও আমরা জানি না।
এসকল কিছুই আমাদের রানা প্লাজার কথা মনে করিয়ে দেয়। আমরা এরকম কোন ভয়াবহতা আর দেখতে চাই না। তাই আমাদের দাবি, RSC বা DIFE যেন ঠিকমতো অডিট করে, আমাদের সাথে কথা বলে এবং আমাদের অবস্থা পরিবর্তনে আমাদের সাহায্য করে।

Updated: April 24, 2025 — 11:46 am

রিজাইনটাই কি কর্মজীবী মায়েদেরে সমাধানের একমাত্র পথ…..

এই আপা ১০০% রপ্তানীমুখী কারখানায় কাজ করেন গত ৫ বছরের উপরে।গর্ভবতী অবস্থায়ও তাকে কাজ করতে হয়েছে অন্য ১০ জনের মতোই।দারিদ্রতার কথা চিন্তা করেও কঠিন সময়ে চাকুরী ছাড়েন নাই।ডেলিভারীর ছুটিতে গেলে টাকা ও ছুটি ২ টাই দেয়।বাচ্চার বয়স ৪ মাস শেষের দিকে।বাচ্চার নিউমোনিয়া হইছে ,কঠিন সময়ের মাঝ দিয়ে যাচ্ছেন।৬ দিন ধরে এ্যাবছেন্ট করছেন।রিজাইন দিতে গিয়েছিলেন,ওয়েলফেয়ার ম্যাডাম বলছে তুমি যতদিন লাগে ছুটি কাটাও ,পরে এসে জয়েন কইরো।আজকে চূড়ান্তভাবে ই সিদ্ধান্ত নিলেন বাচ্চা ১ বছর না হওয়া পর্যন্ত আর চাকুরী করবেন না।কিন্তু কপালে সেই চিন্তার ভাজ আর নিজে নিজেই আওরাতে লাগলেন …..

  • ডে-কেয়ারের পরিবেশটা যদি ভালো হইতো
  • চোখের সামনে বাচ্চাটাকে দেখতে পারলে তো এত ঘাঢ়ভাবে নিউমোনিয়া হতো না..
  • অফিসের মেডিকেলের ডাক্তাররা যদি ভালো হইতো ,আমার বাচ্চাটার এতো কষ্ট হইতো না
  • ঠিকমতো বুকের দুধ খাওয়াতে পারলে ,ঠান্ডার সমস্যাই হয়তো হইতো না……আমার চাকরীটাও ছাড়তে হইতো না।

কথাটি শুধু এক সাবিনা আপার না,আমার আপনার মতো হাজারো মায়েদের……নরীর ক্ষমতায়নে এটি একটি বড় অন্তরায়।সরকারী -বেসরকারী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে বাচ্চা রাখার উপযোগী ডে-কেয়ার সেন্টার বাধ্যতামূলক করা হোক এবংপর্যবেক্ষনের জন্যশক্তিশালী মনিটরিং সেল গঠন করা হোক

Updated: April 21, 2025 — 3:12 pm

স্বপ্ন নয়, ডাস্টবিনের পাশে শৈশব।

আপনারা কি জানেন, আমরা হাজার হাজার গার্মেন্টস কর্মী যেসব এলাকায় থাকি সেখানকার শিশুরা প্রতিদিন স্বাস্থ্যঝুকির মধ্যে বাস করছে?

বাসার পাশের এই বর্জ্য খোলা জায়গায় পড়ে থাকে- রাস্তার পাশে, বাসার পেছনে,এমনকি ড্রেনের মুখ আটকে দিয়ে পানি জমিয়ে ফেলে। এই যে বর্ষা চলে আসল এই অবস্থায় পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠবে। বাসিন্দারা অভিযোগ করলেও কোনো সাড়া মেলে না সময়মত।

ময়লা একবার পড়ে থাকলে ৪-৫ দিন কেউ নেয়না। গন্ধে জানালা বন্ধ করে রাখি, কিন্তু ছোট বাচ্চা তো বাইরে যাইতেই চায়। আমি রোজ চিন্তায় থাকি, কখন আবার ও অসুস্থ হয়।

Updated: April 17, 2025 — 2:30 pm
”শ্রমিক বান্ধব ব্লগ” © 2018