আমরা গার্মেস্টস শ্রমিকেরা সেদিন বলতে পারবো আমরা ভালো আছি
যেদিন আমাদের বেতন টা হবে বাঁচার মতো
যেদিন ১৬ ঘন্টা ডিউটির জায়গায় ৮ ঘন্টা ডিউটি করেই আমাদের সংসার চলবে
যেদিন বেতন পেয়ে আমরা আমাদের ছেলেদের শখ গুলো পূরণ করতে পারবো
যেদিন আমাদের সন্তানদের জন্য ফ্রি একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে
আমাদের জন্য একটা ফ্রি চিকিৎসার ব্যাবস্থা করা হবে
যেদিন গার্মেস্টস শ্রমিককেরা শারিরীক ভাবে কাজ করতে অক্ষম হয়ে যাওয়ার পরে
তাদের জন্য একটা ভবিষ্যৎএর ব্যাবস্থা করা হবে
সেদিনই আমরা শ্রমিকরা ভাববো এ রাষ্ট্র ও আমাদের জন্য কিছু করেছে এ রাষ্ট্র ও আমাদের শ্রমিকদের কথা ভাবে
পার্থক্য শুধু এতটুকুই যে, আমরা ঝড়বৃষ্টি করোনা মহামারী পাড়ি দিয়ে দিন রাত ঠিক এভাবেই হাড় ভাঙা পরিশ্রম করে এদেশের অর্থনীতি সচল রাখি এ রাষ্ট খুশি থাকে
আর মাস শেষে মন ভাঙা মজুরি পেয়ে আমরা শ্রমিকেরা চিন্তায় থাকি যে এই মাসে ৮ বা ১০ হাজার টাকা বেতন পেয়েছি কি করবো বাসা ভাড়া দিতে হবে ৩ হাজার বা ৩৫০০ টাকা দোকান বাকি ২ হাজার বা তিন হাজার, বাচ্চার স্কুলের বেতন তারপরে আবার এই মাসে বাচ্চাটা একটু ইলিশ মাছ বা গরুর মাংস খেতে চেয়েছে তাতে আবার এতো ডিউটি করে নিজের শরীরটাও খারাপ একটা ভালো ডাক্তারও দেখাতে হবে কি করবো এই টাকা বেতন পেয়ে আমি একজন গার্মেস্টস শ্রমিক হয়ে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি
আমরা যারা গার্মেস্টস এ চাকরি করি মাস শেষে বেতন পেয়ে ঠিক এই চিন্তা গুলোয় করতে হয় আমাদের
আজ যদি আমরা বাচাঁর মজুরি পেতাম তাহলে আমাদের অন্তত এই চিন্তা গুলো করতে হতো না।