রিনা গাজীপুরের স্থানীয় একটি গার্মেন্টস এ চাকুরী করত।
রিনার স্বামী রাজমিস্ত্রী কাজ করে। স্বামী সংসারে ঠিকমত টাকা পয়সা দেয় না। রিনা কোন রকমে চাকুরী করে দুই ছেলে মেয়ের খরচ চালায়। অভাবের সংসারে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত।
কিছু দিন আগে রাতে রিনা কাজ থেকে আসার পর তার স্বামীর সাথে ঝগড়া হয়। রিনার স্বামী রিনাকে অনেক মারধর করে। রিনা রাগ করে পরের দিন গ্রামের বাড়ি চলে যায়। গ্রামের বাড়ি যাওয়ার আগে অফিসে সুপারভাইজারকে সব ঘটনা বলে। সুপারভাইজার রিনাকে ছুটি দেয়। বলে সমস্যা থাকতেই পারে। ।
রিনা পারিবারিক ভাবে সবাইকে নিয়ে বিচার শালিশ করে রিনার স্বামী রিনার কাছে ক্ষমা চায় এবং রিনা কে নিয়ে আসে।
লাইন চীফ রিনাকে কাজ জয়েন্ট করতে বলে। রিনা অফিসে গেলে সুপারভাইজার কাজ করতে বলে। কিন্ত এডমিন থেকে রিনাকে কাজ দিতে মানা করে সুপারভাইজারকে।
এডমিনে রিনা গেলে রিনা কে বলে, “তোমার চাকুরী নাই তুমি চলে যাও। তুমি চার দিন অফিসে আস নাই।তোমার চাকুরী নাই।তুমি চলে যাও।”
রিনা এখন কোথাও চাকুরী পায় নি।ঈদের আগে কোথাও লোক নেয়না।তার উপর করোনার দ্বিতীয় ডেউ। কি করবে রিনা। সে অনেক কষ্টে দিন কাটায়।
পরিচিত শুভাকাংখির কাছ থেকে রিনা বিসিডব্লিওএস এর খোজ পেয়ে জিবিভি ও ট্যাবু সেশন এ অংশগ্রহণ করেছে।সে এখন প্রতিবাধ করতে শিখেছে। সে তার অধিকার এর কথা বলতে শিখেছে। নতুন আশায় জীবন পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে।
হাবিবা
সংগঠক