মনোয়ারা নারায়াণগঞ্জের স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে।মনোয়ারার স্বামীর সভাব চরিত্র ভালো ছিল না। মনোয়ারা অনেক কষ্টে ছেলে মেয়ে নিয়ে দিন কাটাচ্ছে।
স্বামী ঠিক মত সংসারের খরচ দেয় না। বরং মনোয়ারার বেতন এর সময় এসে তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলে যায়। আর কোন খোঁজ রাখেনা সারা মাস। আবার বেতনের সময় হলে চলে আসে। টাকা না দিলে মনোয়ারাকে মারধর করে।
এভাবেই মনোয়ারার দিন কাটাচ্ছে। পাশের বাসায় সন্তান কে রেখেছে সে কাজ করে।
সে তার কথা তার এক সহকর্মীর সাথে বলে তখন তার সহকর্মী তাকে BCWS এর ঠিকানা দেয়। তখন সে BCWS এর অফিসে আসে এবং আমাদের কাছে সব কিছু বলে এবং আমাদের সাথে GBV ট্রেইনিং এ অংশগ্রহণ করে।
এর কিছুদিন পরেই আবার তার স্বামি তার কাছে আসে এবং আবারও মারধর করে তখন সে আমাদের কাছে আসে আর বলে, “মাইর খাইয়া আর শরীর শেষ করতে পারুম না আপা, আমি আর আর সহ্য করুম না। আমি এই জালিমের অত্যাচার থাইকা বাচতে চাই, আমি এই জালিমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুম”। তখন সে আমাদের পরামর্শে স্থানীয় লোকজন ও আমাদের BCWS এর প্রতিনিধির সাথে বসে সমস্যার সমাধান করে।
মনোয়ারা এখন ছেলেমেয়েকে নিয়ে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য জীবনযাপন করছে।
রাজিয়া সুলতানা
সংগঠক
এগিয়ে যাক আমাদের শ্রমজীবী বোনেরা। সারাজীবন বিড়ালের মত বেঁচে থাকার চেয়ে, একদিন বাঘের মত বেঁচে থাকা অনেক উত্তম। ধন্যবাদ জানাই BCWS কে, এমন অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন।