কল্পনা বেগম ৫ম শ্রেণী পাস ২ সন্তানের মাতা। বয়স প্রায় ৩৭ বছর। স্বামী নারায়ণগঞ্জের একটি কারখানায় চাকুরী করেন। সন্তানদের ভালোভাবে মানুষ করার জন্য এবং স্বচ্ছল ভাবে জীবন যাপন করার জন্য নিজেও কোনাবাড়ী আমবাগ এলাকায় পিএন কম্পোজিট কারখানায় চেকার হিসেবে ০১.০৯.২০১৩ইং তারিখে যোগদান করেন।
কল্পনা বেগম বিসিডাব্লিউএস- কোনাবাড়ী শাখার সাথে ২০১৫ সাল থেকে যুক্ত হয়ে জানতে পারেন শ্রম আইনের সার্ভিস বেনিফিটের কথা এবং সেই সাথে জানতে পারেন শ্রম আইনের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে।
কল্পনা বেগম বিসিডাব্লিউএস এর সাথে যুক্ত হবার আগে জানতেন, বাংলাদেশের যে কোন কারখানায় বেতন এবং ওভারটাইম ব্যতীত অন্য কোন ধরনের টাকা দেওয়া হয় না।
হঠাৎ করে পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত সমস্যা হবার কারণে ০১.০৬.২০২০ইং তারিখে চাকুরী হতে অব্যাহতি এবং আইন অনুযায়ী পাওনাদি চেয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন।
কারখানা কর্তৃপক্ষ তার সমস্যাগুলি যৌক্তিক বিবেচনা করে অব্যাহতিপত্র গ্রহণ করেন কিন্তু আইনগত পাওনা পরিশোধের ব্যাপারে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন এবং কারখানার বিভিন্ন প্রক্রিয়ার কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেন।
কল্পনা বেগম সরাসরি কারখানার কর্তৃপক্ষকে বলেন- আইন অনুযায়ী ১৬৪৮০ টাকা পাওয়া আমার আইনগত অধিকার। আপনারা যদি আমার এই টাকা না দেন তাহলে আমি টাকা আদায় করার জন্য যেখানে যাবার সেখানেই যাব।
অবশেষে, ৩১.০৭.২০২১ইং তারিখে কল্পনা বেগম শেষ কর্মদিবসে কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন, ওভারটাইমের টাকা ছাড়াও আইন অনুযায়ী ১৬৪৮০ টাকা পরিশোধ করে থাকে।
এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে, কল্পনা বেগম নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকার কারণে। আর এই সচেতনতা তৈরী হয়েছে বিসিডাব্লিউএস এর বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে।
কল্পনা বেগম এখনও বিসিডাব্লিউওস এর সাথে যুক্ত রয়েছেন এবং আশেপাশের কারখানার শ্রমিকদের আইনগত পাওনা টাকার বিষয়ে পরামর্শ দেন।এভাবেই কল্পনা বেগম নিজের অধিকার এবং অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদের জন্য পরামর্শ দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
নওশাদ রায়হান
বিসিডাব্লিউএস-কোনাবাড়ী
আমরা চাই কল্পনা বেগম এর মত সব কর্মজীবি নারী অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে নায্য পাওনা আদায় করুক।