নতুন যখন কারখানায় আসলাম তখন শ্রম আইন নিয়া কিছুই জানতাম না। মালিকের মানেজাররা যা বলতো তাই শুনতে হইতো। কিন্তু বিসিডব্লিঊএস সেন্টার থেকে শ্রম আইন নিয়া প্রশিক্ষন নিয়া এখন আমি আইন সম্পর্কে জানি, আমার অধিকার সম্পর্কে জানি।
মুস্তাকিন
গার্মেন্টস কর্মী
নতুন যখন কারখানায় আসলাম তখন শ্রম আইন নিয়া কিছুই জানতাম না। মালিকের মানেজাররা যা বলতো তাই শুনতে হইতো। কিন্তু বিসিডব্লিঊএস সেন্টার থেকে শ্রম আইন নিয়া প্রশিক্ষন নিয়া এখন আমি আইন সম্পর্কে জানি, আমার অধিকার সম্পর্কে জানি।
মুস্তাকিন
গার্মেন্টস কর্মী
ছদ্ম নাম ময়না। গত 4 বছর ধরে আশুলিয়ার একটি পোষাক কারখানায় কাজ করিতেছি। গত 03 বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করি ঐ একই কারখানার আশিককে। শুরুতে আমাদের সম্পর্ক খুব ভালোই চলছিলো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমার স্বামী আমার সাথে অকারনেই ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হতো, আমার উপার্জনের সব টাকা মাস শেষে নিয়ে যেতো। আমার হাত খরচের জন্যও কোন টাকা দিতো না। এসব বিষয়ে কথা বলতে গেলে আমার গায়ে হাত তুলতো এবং আমার শশুর বাড়ীর লোকজন বিভিন্নভাবে আমাকে হয়রানী করতো। আমার বাবা-মায়ের সাথে যোগাযোগ করতে দিতো না।
হঠাৎ একদিন আমার স্বামী আমাকে মারধর করে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। আর ফিরে আসে না। 2 মাস অতিবাহিত হওয়ার পর একদিন আমাকে ফোন দিয়ে বলে সে অন্য জায়গায় বিয়ে করে ফেলছে। আমি যেন তাকে ভুলে যাই। এর পর আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি।
ধীরে ধীরে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। ঠিকাভাবে কারখানায় কাজ করতে পারি না। আমার মানসিক, শারীরিক এবং অর্থনৈতিক অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই আমি চাই আমার মত অন্য কেউ যাতে পারিবারিক সহিংসতার শিকার না হয়।
করোনাভাইরাস মহামারির মত বিভিন্ন জরুরি পরিস্থিতিতে মেয়েদের নিরাপত্তা আরো বেশি ঝুঁকির মুখে পরে এবং সহিংসতা বেঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সহিংসতা কোন পরিস্থিতিতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তাই চুপ করে থেকে সহিংসতাকে প্রশ্রয় না দিয়ে আওয়াজ তুলুন ও সহিংসতা প্রতিরোধ করুন।
#endgbv #RatifyILO190