করোনাভাইরাস মহামারির মত বিভিন্ন জরুরি পরিস্থিতিতে মেয়েদের নিরাপত্তা আরো বেশি ঝুঁকির মুখে পরে এবং সহিংসতা বেঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সহিংসতা কোন পরিস্থিতিতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তাই চুপ করে থেকে সহিংসতাকে প্রশ্রয় না দিয়ে আওয়াজ তুলুন ও সহিংসতা প্রতিরোধ করুন।
আমি মোঃ সাব্বির হোসেন। আশুলিয়া এরিয়ায় একটি কারখানায় 5 বছর যাবত কাজ করিতেছি। ছোট বেলা থেকে আমার খুব ইচ্ছা ছিল কম্পিউটার শেখার। কিন্তু পরিবারের আয়ের উৎস না থাকায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা শেষ করতে হয়েছে। আমি ফ্যাক্টরীতে কাজ করা অবস্থায় কম্পিউটার শেখার জন্য চেষ্টা করি। তখন আমি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি BCWS এ শ্রমিকদেরকে ফ্রি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তখন আমি এবং আমার সাথের কিছু শ্রমিক BCWS এর অফিসে যাই এবং সেখানে ভর্তি হই এবং নিয়মিত ক্লাস করে আমি আমার কোর্স সম্পন্ন করি।
আমি BCWS থেকে সফলভাবে বেসিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শেষ করে সার্টিফিকেট অর্জন করি। আমার স্বপ্ন একজন সফল প্রিলান্সার হওয়া। বর্তমানে আমি চাকুরীর পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রাফিক ডিজাইনের কোর্স করছি।
আমি BCWS কে ধন্যবাদ দিতে চাই। কারন BCWS ফ্রি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ না দিলে আমার কখনো কম্পিউটার শেখা হয়ে উঠতোনা। পরিশেষে সকল শ্রমিক ভাই বোনদের বলবো BCWS থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষন নিয়ে তারা যেন নিজেদের জীবন মান উন্নয়ন করে।
কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে তাই এ বিষয়ে আইন প্রণয়ন এবং যথাযথ বাস্তবায়ন এবং আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসমর্থন জরুরি। বাংলাদেশের সংবিধানে সকল নাগরিকের মানবাধিকারের কথা বলা আছে, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা দরকার কারন এটা শুধুমাত্র নারীদের জন্য নয়, এটা সকলের জন্য প্রযোজ্য।
নারীরা পূর্বের তুলনায় অনেক সচেতন কিন্তু এ সচেতনতা তখনই কাজে আসবে যখন পুরুষরাও সমান সচেতন হবে। সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ও আইএলও কনভেনশন-১৯০ বাস্তবায়নের সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
শুধুমাত্র আইন হলেই হবে না তা বাস্তবায়ন এবং প্রয়োগ থাকতে হবে। এর জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অ্যাডভোকেসি এবং প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।