শুনুন তাহলে আমাদের মতো বাংলাদেশী গার্মেস্টস শ্রমিকদের বাস্তব জীবনের কিছু কথা
ইউরোপ আমেরিকা চাইলে আমাদের বাংলাদেশের অনেক ভালো পোশাক তারা তৈরি করতে পারে
কিন্তু তারা পোশাক ছাড়া অন্যন্য পোডাক্ট তৈরি করে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করে কিন্তু পোশাক করে না
কারণ বাংলাদেশে আমার মতো একটা পোশাক শ্রমিকের বেতন সর্বোচ্চ ৮ থেকে সাড়ে নয় হাজার
তার পরেও আমাকে সেই ভোর বেলা উঠতে হয়
কিসের কি রান্না করি না করি আবার পিপড়াদের মতো দল বেঁধে কাজে যায়
সেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রোবটের মতো কাজ করতে হয়
তবুও বাঁচার মতো মজুরী পায় না
শ্রক্রবার বাদে প্রতিদিনই ডিউটি করি আমরা
বাড়তি কোন ছুটিও পায় না
দুই ঈদে যাও ছুটি পাই লোকাল বাসে কিংবা ট্রেনের ছাদে আমাদের বাড়ি যেতে হয়
তাও আবার সবার পরে যাই আবার আগে আসতে হয়
আমরা গার্মেস্টস শ্রমিকেরা বাচ্চা জন্ম দিতে ভয় পাই
কারণ আমরা স্বামী স্ত্রী সেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজে থাকি আমাদের বাচ্চা দেখবে কে
আর যদিও আমাদের বাচ্চা হয়
দুধ ছাড়ার আগেই পাঠিয়ে দিই নানী কিংবা দাদীর কাছে
আর এজন্যই বিদেশিরা আসে আমাদের বাংলাদেশে কারণ তারা জানে বাংলাদেশের শ্রমেরদাম কম বাংলাদেশী শ্রমিকদের জীবনের মূল্য কম
আর এই জন্যই এই কাজ গুলো তারা দেশের বাইরে করায় না কারণ সেখানে প্রডাকশ করতে গেলে তাদের অনেক বেশি টাকা খরচ হবে
যেইটা বাংলাদেশে হয় না
আর এই জন্যই তারা বাংলাদেশি শ্রমিকদের শ্রম টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে যায়
বিদেশিরা যখন আসে আমাদের কারখানাতে
তখন তাদের পোশাকের দিকে তাকিয়ে ভাবি
ওই পোশাকের প্রত্যেকটা সুতোয় সেলাই করে দিই আমাদের গার্মেস্টস শ্রমিকের জীবন