”শ্রমিক বান্ধব ব্লগ”

Bangladesh Center for Workers’ Solidarity

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমার চাওয়া নারীরা সামাজে নিজ মর্যদা ও সম্মান নিয়ে বাঁচুক !

আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বিশ্বের সকল নারীদের প্রতি এই বিশেষ দিনে আমার আন্তরিক

অভিনন্দন

আপনারা জানেন কি এই নারী দিবস পালনের পিছনে রয়েছে এক বিশেষ ইতিহাস শুনুন তাহলে

১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে মজুরি বৈষম্য কর্মঘন্টা বিরতি এবং কাজের অমানবিক পরিশ্রমের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় মিছিলে নেমেছিলেন নারীরা

ওই মিছিলে সরকার নারীদের ভয়ংকর অত্যাচার করতো সেই অত্যাচার দেখে সারাদুনিয়া আতংকিত হয়ে যায়

তারপর ১৯০৫ সালে নিউইয়র্কে এক বিশাল নারী সম্মেলন আয়োজিত হয়

আর সেই সম্মেলনে ৮ মার্চ দিনটিকে তারা নারী দিবস পালনের প্রস্তাব করে

তারপর সম্মানিত জাতিসংঘ নারীদের অধিকার সম্মান ও মর্যদা প্রদানে ৮ মার্চ দিনটিকে নারী দিবস পালনের স্বীকৃতি দেয় আর তারপর থেকেও নারীদের শক্তি ও সাহসের প্রসংসা ও কিছু উপহার দিয়ে অফিস আদালত স্কুল কলেজ সমস্ত জায়গায় নারীদের বিশেষ সম্মান জানানো হয়

আর আমাদের এই নারী দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো

নারীদের সামাজিক, অথর্নৈতিক, রাজনৈতিক সকল ক্ষেত্রে সম মর্যাদা ও সম অধিকার প্রদান করা

আমরা নারীরাই কখনও মা কখনও বোন কখনো বা স্ত্রী তাই পুরুষের উচিত আমাদের স্পেশাল সম্মান করা

বর্তমান সমাজে আমরা নারীরাই সবথেকে বেশি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি যোগ্যতা থাকা স্বত্বেও

সমাজে বিভিন্ন ভাবে আমাদের লাঞ্চিত বঞ্চিত অপমানিত করা হয়

আজ আমরা মেয়েরাও সকল জায়গায় পারদর্শী

যাই হোক এই ৮ মার্চ নারী দিবসে আমার চাওয়া

নারী অত্যাচার ধর্ষন লাঞ্চনা বঞ্চনা চিরকালের মতো বন্ধ হোক

নারীরা সামাজে নিজ মর্যদা ও সম্মান নিয়ে বাঁচুক

Happy woman’s day

Updated: March 25, 2022 — 2:02 pm

বাঁচার মতো মজুরী চাই!

আমরা গার্মেস্টস শ্রমিকেরা সেদিন বলতে পারবো আমরা ভালো আছি

যেদিন আমাদের বেতন টা হবে বাঁচার মতো

যেদিন ১৬ ঘন্টা ডিউটির জায়গায় ৮ ঘন্টা ডিউটি করেই আমাদের সংসার চলবে

যেদিন বেতন পেয়ে আমরা আমাদের ছেলেদের শখ গুলো পূরণ করতে পারবো

যেদিন আমাদের সন্তানদের জন্য ফ্রি একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে

আমাদের জন্য একটা ফ্রি চিকিৎসার ব্যাবস্থা করা হবে

যেদিন গার্মেস্টস শ্রমিককেরা শারিরীক ভাবে কাজ করতে অক্ষম হয়ে যাওয়ার পরে

তাদের জন্য একটা ভবিষ্যৎএর ব্যাবস্থা করা হবে

সেদিনই আমরা শ্রমিকরা ভাববো এ রাষ্ট্র ও আমাদের জন্য কিছু করেছে এ রাষ্ট্র ও আমাদের শ্রমিকদের কথা ভাবে

পার্থক্য শুধু এতটুকুই যে, আমরা ঝড়বৃষ্টি করোনা মহামারী পাড়ি দিয়ে দিন রাত ঠিক এভাবেই হাড় ভাঙা পরিশ্রম করে এদেশের অর্থনীতি সচল রাখি এ রাষ্ট খুশি থাকে

আর মাস শেষে মন ভাঙা মজুরি পেয়ে আমরা শ্রমিকেরা চিন্তায় থাকি যে এই মাসে ৮ বা ১০ হাজার টাকা বেতন পেয়েছি কি করবো বাসা ভাড়া দিতে হবে ৩ হাজার বা ৩৫০০ টাকা দোকান বাকি ২ হাজার বা তিন হাজার, বাচ্চার স্কুলের বেতন তারপরে আবার এই মাসে বাচ্চাটা একটু ইলিশ মাছ বা গরুর মাংস খেতে চেয়েছে তাতে আবার এতো ডিউটি করে নিজের শরীরটাও খারাপ একটা ভালো ডাক্তারও দেখাতে হবে কি করবো এই টাকা বেতন পেয়ে  আমি একজন গার্মেস্টস শ্রমিক হয়ে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি

আমরা যারা গার্মেস্টস এ চাকরি করি মাস শেষে বেতন পেয়ে ঠিক এই চিন্তা গুলোয় করতে হয় আমাদের

আজ যদি আমরা বাচাঁর মজুরি পেতাম তাহলে আমাদের অন্তত এই চিন্তা গুলো করতে হতো না।

Updated: March 21, 2022 — 12:36 pm
”শ্রমিক বান্ধব ব্লগ” © 2018