”শ্রমিক বান্ধব ব্লগ”

Bangladesh Center for Workers’ Solidarity

নারীদের জন্য সবাই মিলে ভীতিহীন নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তুলবো

যৌন হয়রানী নিয়ে অনেকদিন ধরে কাজ চলছে। যৌন হয়রানী রোধে আইন আছে ও উচ্চ আদালতের বিভিন্ন আদেশ আছে তা স্বত্ত্বেও সমাজে যৌন-হয়রানী বন্ধ হচ্ছে না। এ বিষয়ে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। কেবল মাত্র কর্মক্ষেত্র নয় যেসব ক্ষেত্রে যৌন হয়রানী হয় সেটাও সামনে আনতে হবে।

 

কর্মক্ষেত্রসহ সব জায়গায় নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে, তাদের অগ্রযাত্রা কে বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তা দিতে হবে। সবাই মিলে যৌন হয়রানীর বিরুদ্ধে কাজ করলে নিশ্চয় নারীদের জন্য ভীতিহীন নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব।

আকলিমা আক্তার পলি

নারী আন্দোলন কর্মী

Updated: June 24, 2021 — 7:23 pm

কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা রোধে ILO C-190 অনুস্বাক্ষর চাই

কর্মক্ষত্রে শ্রমজীবি নারীদের প্রতি হয়রানী কিংবা নির্যাতন নিত্যদিনের ঘটনা, দিন দিন এটি আরও বাড়ছে। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের উপর করা সহিংসতা, হয়রানী তাদের কে নাজুক করে ফেলে। এর ফলে শ্রমিকদের একধরনের মানসিক চাপ তৈরী হয় এবং তাদের কর্মস্পৃহা কমে যায়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতাও হ্রাস পায়। কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিক হয়রানী ও নির্যাতন প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমুহের সুপারিশমালা নির্ধারন করতে হবে। এজন্য কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানী বন্ধে আই এল ও কনভেনশন ১৯০- এ অনুস্বাক্ষর করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হচ্ছে।

আকলিমা আক্তার পলি

নারী আন্দোলন কর্মী

Updated: June 25, 2021 — 11:58 am

আঁধার সিদ কেটে সুখজানের আলোতে ফেরা

জীবন ও জীবিকার সন্ধানে স্বামীর সাথে শহরে আসে সুখজান ।

গাজীপুরের স্থানীয় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে এ চাকু্রী  নেয়। সুখজান ও তার স্বামীর পরিশ্রমে কোনরকম  তাদের সংসার চলে যাচ্ছিলো।

২০২০ সালে হঠাৎ করেই সুখজানের জীবনে  কালো আঁধার নেমে আসে।  অফিস থেকে ফেরার পথে রাস্তা পার হবার  সময়  বেপরোয়া দ্রুতগামী একটি গাড়ী  ডান পায়ের উপর দিয়ে যায়, তার ডান পায়ের পাতা থেঁৎলে মারাত্বক জখম হয়।  একে তো মহামারী  করোনার থাবা, কারখানা থেকে বেতন দেই ৬৫ পারসেন্ট,  এই টাকা দিয়ে খুব কষ্ট করে সংসার চলছিল, তার উপর আবার  সুখজানের দূঘটনা।

টাকার অভাবে ঠিক মত চিকিৎসা  করাতে না পারায় পায়ে ইনফেকশন হয়। ডাক্তার তার পুরো পা বাচানোর জন্য পায়ের আঙ্গুল  কেটে ফেলে দেয়। শরীরের  অন্য  অংশ  থেকে মাংস  কেটে লাগানো হয় পায়ে।

 

সুখজানের চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল, চিকিৎসা করাতে তার স্বামীর ঘাড়ে  অনেক বড় ঋণের বোঝা।  ঔষধ কেনার জন্য সংসারের বাজার করার সামর্থ্য ছিল না।

BCWS এর পক্ষ থেকে  করোনা কালীন সহায়তা  সুখজানের বাসায় পৌঁছে  দেয়।

BCWS পরিবার কে কাছে পেয়ে কেঁদে  ফেলে, “আফা আপনাগোমত মানুষ দেহি নাই ।  আপনারা আমার  বাসায় সাহায্যে  নিয়া আইছেন ছয় মাস ধরে বিছানায় পরে আছি। কেউ একটা টাকা  দেয়নি। কোন সরকারি  সাহায্যে  পাইনি। গরিবের কেউ নাইগো আফা, এইডা মনে মনে ভাবতাম। আপনারা যা দিছেন আমার একমাস বাজার করা লাগব না।  বাজারোর টাকা  দিয়ে ঔষধ  কিনতে পারমু। দুয়া করি আফনারা যেন মানুষের জইন্য অনেক কিছু করতে পারেন। আমার লাইগা দুয়া কইরেন গো আমি বালা হইয়া কামে ফিরুম।“

ধীরে ধীরে সুস্থ্য হয়ে সুখজান এখন কর্মক্ষম হয়েছে। সাবকন্ট্রাক্টে প্রোডাকশন এর কাজ করে সংসারের জন্য আয় করা শুরু করেছে। সুখজানের জন্য রইলো শুভ কামনা।

সুখজান

আহত নারীশ্রমিক

সম্পাদনা

হাবিবা

মানবাধিকার কর্মী

Updated: June 24, 2021 — 3:47 pm
”শ্রমিক বান্ধব ব্লগ” © 2018