জীবন ও জীবিকার সন্ধানে স্বামীর সাথে শহরে আসে সুখজান ।
গাজীপুরের স্থানীয় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে এ চাকু্রী নেয়। সুখজান ও তার স্বামীর পরিশ্রমে কোনরকম তাদের সংসার চলে যাচ্ছিলো।
২০২০ সালে হঠাৎ করেই সুখজানের জীবনে কালো আঁধার নেমে আসে। অফিস থেকে ফেরার পথে রাস্তা পার হবার সময় বেপরোয়া দ্রুতগামী একটি গাড়ী ডান পায়ের উপর দিয়ে যায়, তার ডান পায়ের পাতা থেঁৎলে মারাত্বক জখম হয়। একে তো মহামারী করোনার থাবা, কারখানা থেকে বেতন দেই ৬৫ পারসেন্ট, এই টাকা দিয়ে খুব কষ্ট করে সংসার চলছিল, তার উপর আবার সুখজানের দূঘটনা।
টাকার অভাবে ঠিক মত চিকিৎসা করাতে না পারায় পায়ে ইনফেকশন হয়। ডাক্তার তার পুরো পা বাচানোর জন্য পায়ের আঙ্গুল কেটে ফেলে দেয়। শরীরের অন্য অংশ থেকে মাংস কেটে লাগানো হয় পায়ে।
সুখজানের চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল, চিকিৎসা করাতে তার স্বামীর ঘাড়ে অনেক বড় ঋণের বোঝা। ঔষধ কেনার জন্য সংসারের বাজার করার সামর্থ্য ছিল না।
BCWS এর পক্ষ থেকে করোনা কালীন সহায়তা সুখজানের বাসায় পৌঁছে দেয়।
BCWS পরিবার কে কাছে পেয়ে কেঁদে ফেলে, “আফা আপনাগোমত মানুষ দেহি নাই । আপনারা আমার বাসায় সাহায্যে নিয়া আইছেন ছয় মাস ধরে বিছানায় পরে আছি। কেউ একটা টাকা দেয়নি। কোন সরকারি সাহায্যে পাইনি। গরিবের কেউ নাইগো আফা, এইডা মনে মনে ভাবতাম। আপনারা যা দিছেন আমার একমাস বাজার করা লাগব না। বাজারোর টাকা দিয়ে ঔষধ কিনতে পারমু। দুয়া করি আফনারা যেন মানুষের জইন্য অনেক কিছু করতে পারেন। আমার লাইগা দুয়া কইরেন গো আমি বালা হইয়া কামে ফিরুম।“
ধীরে ধীরে সুস্থ্য হয়ে সুখজান এখন কর্মক্ষম হয়েছে। সাবকন্ট্রাক্টে প্রোডাকশন এর কাজ করে সংসারের জন্য আয় করা শুরু করেছে। সুখজানের জন্য রইলো শুভ কামনা।
সুখজান
আহত নারীশ্রমিক
সম্পাদনা
হাবিবা
মানবাধিকার কর্মী